১৪ই আগস্ট দিবাগত রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বেঁচে যাওয়া একটি প্রতিকৃতি যা সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরের ছিল। সেখানে কয়েকজন পুষ্প মাল্য অর্পণ করে। এবং পরে শুক্রবার দুপুরের দিকে প্রতিকৃতি ভেঙে দেয় উৎসুক জনতা।
স্থানীয় জনতার সূত্রে জানা যায়,‘‘ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত বারোটা পর তথা ১৫ ই আগস্ট উদযাপন করার উদ্দেশ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। যার রেস ধরে দুপুরের দিকে কিছু ব্যক্তি প্রতিকৃতি ভেঙ্গে দেয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মোঃ রাসেল হোসেন নামের একজন ব্যক্তি প্রতিকৃতিতে সামনে ফুলের মালা রেখে যায়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা অন্য কোন ব্যক্তিকে শনাক্ত করা যায়নি।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব সাইফুল ইসলাম বলেন,‘‘ গভীর রাতে দুজন লোক আসে এবং একজন ফুল দিয়েছে আরেকজন নিজের হাতে থাকা মুঠোফোনের ভিডিও করেছে সে দৃশ্য’’।
গতকাল রাতে নিষিদ্ধ দলের কর্তৃক ফুল দেওয়ার সন্দেহবশত রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় আজ দুপুরে দিকে প্রতিকৃতি ভেঙে দেওয়া হয়। ১৫ই আগস্ট তথা আজ বিকেলে তিনটার দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাতক্ষীরা শাখার সাবেক আহবায়ক আরাফাত হোসেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্টের অভিযোগ করেছেন যে,‘‘ কলারোয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ভাঙ্গার সময় প্রশাসনের লোকজন বাধা সৃষ্টি করেছেন’’।
আরাফাত তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছেন,‘‘ মুজিবের প্রতিকৃতি ভাঙতে ইউএনওর বাধা। বাহ বাহ ( ইউ এন ও )বাহ। কলারোয়ার ডিসি মোস্তাক আহমেদ কি আওয়ামী লীগতেছে’’?
এছাড়াও তিনি আরো বলেন,‘‘ ইউ এন ও কিভাবে মুজিব রেখে অফিস করত? ছাত্র-জনতারই জুলাই বিপ্লবের পরও তিনি কিভাবে বলেন,’’ ভাঙার দরকার নেই, এখানে আমরা অন্য কিছু বানাবো’’।
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউ এন ও) জনাব মোঃ জহুরুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠোফোনে জানান,‘‘ আজ আমি ছুটিতে আছি, ঘটনাস্থল তথা কলারোয়াতে নেই।
একজন ছাত্র প্রতিনিধি পরিচয় আমাকে ফোন দিলে আমি তাকে বলেছিলাম স্থাপনাটি ভেঙ্গো না, আমরা ওখানে কলারোয়া উপজেলার ম্যাপ লাগিয়ে দেব। প্রতিকৃতি ভাঙা বা ধুলিস্যাৎ করার ব্যাপারে কোন বাধা দেওয়া হয়নি।
জানুন:-মাস্ক পড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর বার্ষিকী পালন
