প্রিয় পাঠকবৃন্দ, আপনাদের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। কৃষি আমাদের জীবন ও সভ্যতার অন্যতম মূলভিত্তি। কৃষি কাজে বিজ্ঞান এই রচনায় আমরা জানবো কীভাবে বিজ্ঞান বর্তমানে কৃষি ব্যবস্থাকে আধুনিক করেছে এবং কৃষকদের জীবনকে আরো সহজ করেছে।
আপনাদের একাডেমিক ক্ষেত্রে এই রচনাটি ব্যবহার করতে পারেন। তবে সম্পূর্ণ রচনাটি দেখার জন্য অনুরোধ করা হলো এবং নিচে থাকা লেখকের কথা মনোযোগ দিয়ে দেখার জন্য অনুরোধ করা হলো। চলুন রচনাটি শুরু করি।
কৃষি কাজে বিজ্ঞান
সূচনাঃ
মানব সভ্যতার সূচনা লগ্ন থেকেই মানুষ কৃষিকাজের সাথে জড়িত। তাই মানব সভ্যতার আদিমতম পেশা কৃষি। মানুষ যখন পশু শিকারের কাজ ছেড়ে কৃষিকাজ করতে শুরু করে তখন থেকেই মানব সভ্যতার বিকাশের আরম্ভ হয়। বর্তমান মানব সভ্যতায় বিজ্ঞানের আশীর্বাদ সকল ক্ষেত্রেই পরিলক্ষিত কৃষিও তার ব্যতিক্রম নয়।
বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কার ঠিক যেন জাদুর মত বদলে দিচ্ছে মানব জীবনের প্রয়োজনীয় সকল কর্মকান্ড। মানব জীবনের সকল স্তরেই পরিলক্ষিত হচ্ছে আধুনিক বিজ্ঞানের জয়যাত্রা। কৃষি ক্ষেত্রেও বিজ্ঞানের এই জাদু কোনভাবেই কম নয়।
ক্রমগত বেড়েই চলছে কৃষি ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের জয়যাত্রা। গোটা বিশ্বের বিজ্ঞানের আশীর্বাদে কৃষিক্ষেত্রে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। আর এই পরিবর্তনের ধারা ক্রমাগতই উন্নতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। বর্তমানে আমাদের দেশে কিভাবে বিজ্ঞানের সহায়তায় কৃষিকে আরো উন্নতির দিকে পরিচালিত করা যায় সেই ধারাবাহিক প্রচেষ্টাই অব্যাহত রয়েছে।
আর উন্নতির এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক কর্মসূচি প্রতিনিয়ত বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ কারণেই বর্তমান প্রজন্ম কৃষিক্ষেত্রে আবিষ্কার করছে নতুন নতুন সম্ভাবনাময় ও সফলতার দুয়ার।
মানব সভ্যতায় কৃষকঃ
মানব সভ্যতার সর্ব প্রাচীন পেশা কৃষি। আর এই কৃষি কাজের সাথে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে জড়িত প্রত্যেকটি মানুষকেই বলা হয় কৃষক। মানুষ যখন শিকার ছেড়ে কৃষিকাজ শুরু করল তখন থেকেই আধুনিক সভ্যতার বুৎপত্তি আরম্ভ। সেই আদিম যুগ থেকেই আজ অবধি মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার খাদ্য উৎপাদনের সকল ভার সাধারণ গরিব কৃষকের কাঁধে।
সভ্যতার সূচনা লগ্ন থেকে আজ অব্দি গোটা বিশ্বের হাল বহন করেছেন এই কৃষকেরাই। মানবদেহের চালিকা শক্তি সুষম খাদ্য আর সুষম খাদ্যের জন্য মানুষকে সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করতে হয় কৃষকের উপরেই। তাইতো কবি বলেছিলেন”
সব সাধকের বড় সাধক, আমার দেশের চাষা।
দেশ মাতারই মুক্তিকামী, দেশের সে যে আশা।
খাদ্য বাদেও মানুষের অন্যান্য মৌলিক অধিকার সমূহ, যেমন: বস্ত্র, চিকিৎসা, বাসস্থান, সবকিছুই প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে কৃষকের উপর নির্ভরশীল।
কিন্তু আধুনিক যুগে জলবায়ু পরিবর্তন, জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে খাদ্যের চাহিদা বৃদ্ধি, ফসলে জমির পরিমাণ যখন হুমকির মুখে, কৃষকের জীবন যখন হুমকির মুখে তখনই আবির্ভাব হয় আধুনিক কৃষি বিজ্ঞানের।
ঠিক যেন অসহায় মানুষের ত্রাণকর্তা হিসেবে বিজ্ঞান কৃষিতে নতুন প্রাণের সঞ্চার করে। কৃষক এবং কৃষি কাজে বিজ্ঞানের ব্যবহারে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনে, যা খাদ্য ও কৃষি পণ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করে এবং বর্ধিত জনগোষ্ঠীর চাহিদা পূরণে সক্ষম হয়।
কৃষির ইতিবৃত্তঃ
মানব সভ্যতার ইতিহাসের মতোই কৃষির ইতিহাসও অনেকটা পুরনো এবং জটিল সমীকরণে আবদ্ধ। আজ মানব সভ্যতার প্রাচীনতম পেশা হিসেবে কৃষি সর্বজন স্বীকৃত। তবে ধারণা করা হয় কৃষিকাজ প্রায় দশ হাজার বছর আগে শুরু হয়েছিল।
জীবন ধারণের তাগিদে যখন মানব সভ্যতার সূচনা লগ্নের আদিবাসীরা ফলমূল সংগ্রহ করত মাছ ও জন্তু-জানোয়ার স্বীকার করত। অনাহার ও দুর্ভিক্ষ ছিল যাদের নিত্যদিনের সঙ্গী।
যখন বিনা খাবারে থাকতে হতো গোটা সমাজ ,জাতি বা কোন গোষ্ঠীকে। বনে জঙ্গলে ঘুরে সংগ্রহ করতে হতো একবেলার খাবার। স্বীকার করতে হতো বন্য পশু ও পাখি।
তার ঠিক পরেই তারা শিখতে শুরু করে পশুপালন এবং বীজ বপন করা। আর এই বীজ বপন করাই ছিল কৃষি কাজের প্রারম্ভ। এর পালা ক্রমেই মানব সভ্যতায় সৃষ্টি হতে থাকে কৃষি ও কৃষকের প্রয়োজন। কৃষির অতীত জানতে গেলে জানা যায় প্রথম দিকে গরু, ঘোড়া, মহিষ ইত্যাদি জন্তুর সাহায্যে হাল চাষ করা হতো।
কখনো কখনো মানুষকে নিজের কাধেই তুলে নিতে হতো লাঙল এবং তার সাহায্যেই হতো চাষাবাদ। কৃষকেরা সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল ছিল প্রকৃতি এবং আবহাওয়ার উপরে।
অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, ছিল তখনকার কৃষকদের নিত্যদিনের হতাশা ও দুশ্চিন্তার বিষয়। আর ভালো ফসল ফলানোটা ছিল অত্যন্ত সৌভাগ্যের বিষয়।
একই জমিতে বারবার একই ধরনের ফসল উৎপাদনে জমির উর্বরতা হ্রাস পাওয়া এবং কৃষি বিষয়ে অনভিজ্ঞতা হলে ক্রমশ উৎপাদন ক্ষমতা কমে যাওয়া ছিল তখনকার সময়ের কৃষির পরিচিত রূপ। তখনকার সময়ে কৃষিতে না ছিল আধুনিক যন্ত্রপাতির দেখা, না ছিল উন্নত বীজের ব্যবস্থা।
তাই কৃষি কাজ অনেকটা মানব জীবনের অন্তরায় হিসেবেই পরিলক্ষিত হচ্ছিল। কৃষির ইতিবৃত্ত বিশ্লেষণ করলে জানা যায় অতীতকালের কৃষি ছিল কৃষকের অধিক শ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হতাশা ও নিরাশার প্রতিচ্ছবি। যা ছিল সমাজ জীবনে মানবজাতির উন্নতির অন্তরায়।
কৃষিতে বিজ্ঞানের প্রারম্ভঃ
কৃষিতে বিজ্ঞানের আবিষ্কারের প্রয়োগ শুরু হয় প্রাচীনকাল থেকেই। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ এবং উনবিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভেই শিল্প বিপ্লবের মাধ্যমে কৃষিতে বিজ্ঞানের প্রভাব লক্ষণীয় হতে থাকে। যার ফল স্বরূপ কৃষকেরা কৃষিতে উন্নত জাতের বীজ আধুনিক যন্ত্রপাতি ও সময়োপযোগী কৃষি পদ্ধতি আবিষ্কার করতে থাকে।
কৃষিতে বিজ্ঞানের এই উন্নতির ধারাবাহিকতায় কৃষির যথেষ্ট উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। কৃষি কাজে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হতে কৃষক আস্তে আস্তে আবিষ্কার করতে থাকে কৃষি কাজে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন আধুনিক পদ্ধতির।
আদিম চাষাবাদ প্রক্রিয়া থেকে তারা ক্রমাগত আধুনিকতার দিকে ধাবিত হয়। বিখ্যাত খনার বচনগুলো যদি বিশ্লেষণ করা হয় সেখান থেকে জানা যায় প্রাচীনকাল থেকেই কৃষি কাজে বিজ্ঞানের ব্যবহার আরম্ভ হয়।
যার ফলে কৃষক তুলনামূলক বেশি ফলনশীল বীজ উৎপাদন, কীটপতঙ্গ তাড়ানো এবং রোগের বিরুদ্ধে কিভাবে প্রতিকার করবে সে বিষয়ে আস্তে আস্তে আবিষ্কার শুরু করে।
আর উনিশ শতাব্দীর বিপ্লবের পরেই কৃষিতে বিজ্ঞানের অবদান ক্রমশ বাড়তে থাকে এবং সর্বজন স্বীকৃত হয়। কৃষি কাজে বিজ্ঞানের এই অবদান ক্রমাগত চলমান। তাই বর্তমানে বলা চলে কৃষি ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের দান অনস্বীকার্য।
আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি ও বিজ্ঞানঃ
প্রাচীন কৃষি পদ্ধতি থেকে আজকের বর্তমান সময়ের কৃষি পদ্ধতি কোন কল্পকাহিনী থেকেও কোন অংশে কিছু কম নয়। প্রাচীন ও বর্তমান সময়ের চাষাবাদের এই বিস্তর পার্থক্য একমাত্র কারণ হচ্ছে কৃষি ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের অবদান।
আদিম যুগের লাঙ্গল ব্যবহার, গবাদি পশুর সাহায্যে চাষাবাদ পদ্ধতির পরিহার করে বর্তমান আধুনিক ট্রাক্টর এর সাহায্যে অতি অল্প সময়ে স্বল্প পরিশ্রমে অধিক পরিমাণে জমি চাষাবাদ করা যায়। যেখানে কোন প্রকার গবাদি পশু বা মানুষকে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয় না।
উন্নত বীজ উৎপাদন এবং তা সংরক্ষণে নেওয়া হচ্ছে বিজ্ঞানের সাহায্য। সেচ ব্যবস্থা, সার প্রয়োগ, বীজ রোপন, ফসল মাড়াই তথা বীজ উৎপাদন থেকে ফসল ঘরে তোলা পর্যন্ত ঠিক কোন ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের অবদান নেই সেটাই খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।
এছাড়াও কৃষিক্ষেত্রে আরো বিজ্ঞানের ব্যবহার হচ্ছে, সেচের জন্য ভূগর্ভস্থ পানি তুলতে যেমন ব্যবহার করা হচ্ছে বিদ্যুৎ শক্তি চালিত পাম্প, তেমনি জমির অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে বৈজ্ঞানিক যন্ত্র।
এরথেকেও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বিজ্ঞানের অবদানে বিভিন্ন কৃষি ফসল নিয়ে গবেষণা করে উন্নত মানের ও অধিক ফলনশীল বীজ আবিষ্কার করা হচ্ছে। বিজ্ঞানের অবদানে শক্তিশালী রাসায়নিক সার আবিষ্কার হওয়ায় ফসল উৎপাদনে এসেছে অভূতপূর্ব সাফল্য।
এমনকি বিজ্ঞানীরা বর্তমান সময়ে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে কৃষিক্ষেত্রে নতুন অকল্পনীয় অগ্রগতি অর্জনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতিকালে বিশ্বের বৃষ্টিহীন শুষ্ক মরু অঞ্চলে চাষাবাদ শুরু করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিজ্ঞানের সহায়তায় সেদিন বেশি দূরে নয় যখন বিজ্ঞানীরা এ সকল ক্ষেত্রেও সাফল্য অর্জন করবে। এবং বিজ্ঞানের অবদানে গোটা বিশ্ব দেখতে পারবে কৃষি জগতে এক যুগান্তকারী বিপ্লব।
বাংলাদেশের কৃষিকাজে বিজ্ঞানের দৃষ্টান্তঃ
বাংলাদেশের কৃষিতে বিজ্ঞানের ব্যবহার এর ফলে বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদন পূর্বের তুলনায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল মাত্র ৭ কোটি এবং মোট খাদ্য উৎপাদন ছিল ৭.৮ মিলিয়ন টন। আর ২০২৩ সালের জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশের জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি এবং মোট খাদ্য উৎপাদন হয়েছে ৪৭.৫ মিলিয়ন টনের অধিক। যা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় পাঁচ/ছয় গুণেরও বেশি।
এই হিসাব পর্যালোচনা করলে দেখা যায় বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের চেয়ে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির হার বেশি হয়েছে। তাই তো গানের ভাষায় বলা যায়”
সোনা নয় ততো খাঁটি।
বলো যতো খাঁটি তার চেয়ে খাঁটি
বাংলাদেশের মাটি’রে ভাই
আমার বাংলাদেশের মাটি।
বাংলাদেশের এই সোনা ফলানো মাটিতে বিজ্ঞানের অবদানে গত কয়েক বছরেই বাংলাদেশের মোট উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ। যা বাংলাদেশের বাড়তি খাদ্য তালিকা পূরণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
কৃষি কাজে বিজ্ঞানের পরিধিঃ
আধুনিক কৃষি কাজে বিজ্ঞান ব্যতীত কোন কিছুই কল্পনা করা সম্ভব নয়। তবে বিজ্ঞানের কিছু উল্লেখযোগ্য এবং বিশেষ অবদান রয়েছে যেগুলো কৃষিকে দেখিয়েছে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার। আধুনিক কৃষির ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের কিছু বিশেষ বিশেষ আবিষ্কার এবং ব্যবহার নিচে আলোচনা করা হলো।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর সাহায্যে বিজ্ঞানীরা কীটপতঙ্গ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন উচ্চ ফলনশীল আরো পুষ্টিকর নতুন নতুন ফসলের জাত উৎপাদন করতে সম্ভব হয়েছে। এর ফলে কৃষিতে সংকর প্রজাতির ফসলের উদ্ভাবন ঘটেছে যা অধিক ফলনশীল এবং সময়োপযোগী।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ
চাষাবাদের জন্য একটা সময় পর্যন্ত কৃষকদের একমাত্র সম্বল ছিল সেই প্রাচীনকালের খনার বচনের উক্তি গুলো। বর্তমানে বিজ্ঞানের অবদানে এখন আর কাউকেই বচন বা পুরনো ধারণার উপরে নির্ভর করে চাষাবাদ করতে হয় না।
বর্তমান সময়ে কৃষকেরা স্যাটেলাইটের সাহায্য নিয়ে তৈরি করা বিভিন্ন অ্যাপস বা বিভিন্ন কৃষিবিদদের মাধ্যমে চাষাবাদের সম্পূর্ণ তথ্য পেতে পারে। এখন কৃষকেরা ফসল লাগানো ফসল তোলা এবং ফসল পরিচর্যার সঠিক সময়ে এবং উপযুক্ত আবহাওয়া সম্পর্কে সকল ধারণা খুব সহজেই পেয়ে থাকে। কৃষককে আর রোদে ধান ছায়ায় পান, খনা ডেকে বলে যান, এমন প্রবাদে নির্ভরশীল হতে হয় না।
মাটি পরীক্ষা
বিজ্ঞানের অবদানে কৃষকেরা বর্তমানে খুব সহজে এবং একদম অল্প সময়ে মাটি পরীক্ষা করে মাটির স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানতে পারে। যা কৃষি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সেন্সর যুক্ত যন্ত্র ব্যবহার করে মাটি পরীক্ষা করে মাটির স্বাস্থ্য যাচাইয়ের ফলে কৃষক এখন সঠিক পরিমাণে সার এবং প্রয়োজনীয় উপাদান মাটিতে মিশিয়ে মাটির গুণগত মান ও উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হচ্ছে।
কীটপতঙ্গ দমন ব্যবস্থা
কীটপতঙ্গ দমনে কৃষকরা বর্তমান সময়ে ব্যবহার করছে বিভিন্ন সময়োপযোগী মাধ্যম। যার দ্বারা তারা খুব সহজেই কীটপতঙ্গের আক্রমণের ধরন এবং বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী নির্ধারণ করতে পারছে এবং সেই অনুযায়ী তারা ঔষধ প্রয়োগ করতে পারছে।
কীটপতঙ্গ বা রোগের ধরন অনুযায়ী খুব সহজেই ঔষধ পেয়ে যাচ্ছে কৃষকেরা যা বর্তমান কৃষিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, আর এই পুরো বিষয়টাই সম্ভব হয়েছে একমাত্র কৃষিতে বিজ্ঞানের অবদানে।
বাংলাদেশের কৃষি কাজে বিজ্ঞান
বাংলাদেশের কৃষির প্রকৃতি, কৃষক এবং উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের কৃষিকাজে বিজ্ঞানের ব্যাপক ব্যবহার এখনো সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তবে ইতোমধ্যে বিজ্ঞানের প্রভাব বাংলাদেশের কৃষি ক্ষেত্রেও পড়েছে।
জমিকর্ষণের জন্য প্রচলিত লাঙ্গল বা গরুর ব্যবহারের পরিবর্তে ট্রাক্টর এর ব্যবহার হচ্ছে বাংলাদেশের কৃষিতে। প্রকৃতির উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল না হয়ে পাম্প এবং গভীর ও অ-গভীর নলকূপের সাহায্যে পানি সেচ দেওয়া হচ্ছে কৃষি জমিতে। এর জন্য প্রাচীন পদ্ধতি অনুসরণ না করে সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির।
ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে উন্নত মানের রাসায়নিক সার এবং ফসল বৃদ্ধিকারী বিভিন্ন ঔষধ। সংরক্ষণ ব্যবস্থা হচ্ছে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসারে। বিজ্ঞানের কল্যাণে বছরে একই জমিতে তিনবার ফসল ফলানো হচ্ছে।
আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের জন্য প্রবল ইচ্ছা এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার শিক্ষার জন্য প্রবল আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। অধিক ফসল প্রাপ্তির আশায় এবং ঝুঁকিবিহীন চাষাবাদের জন্য কৃষকেরা এখন বর্তমানে নির্ভর করছে বিজ্ঞান নির্ভর কৃষি পদ্ধতিতে।
এছাড়াও কৃষকেরা বর্তমানে খুব দ্রুত রোগ নির্ধারণ করতে পারছে এবং সেই অনুযায়ী ঔষধ প্রয়োগের মাধ্যমে রেহাই পাচ্ছে বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে।
খাদ্য নিরাপত্তায় কৃষিকাজে বিজ্ঞান
নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা বর্তমান পৃথিবীর বহুল আলোচিত বিষয়। খাদ্য নিরাপত্তা হলো পৃথিবীর সমস্ত মানুষের সব সময়ের জন্য নিরাপদ পুষ্টিকর এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য সরবরাহ করার নিশ্চয়তা ক্রমবর্ধমান বিশ্ব জনসংখ্যার খাদ্যের যে ব্যাপক চাহিদা তা মেটাতে এবং খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষিতে বিজ্ঞানের ভূমিকা অতুলনীয়।
বর্তমান বিশ্বে খাদ্যের বাড়তি চাহিদা পূরণের জন্য বিজ্ঞানীরা উচ্চ ফলনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবন করছে যা খাদ্য উৎপাদন এবং খাদ্য সরবরাহ বৃদ্ধি করছে এবং বাড়তি চাহিদা পূরণে সক্ষম হচ্ছে।
আবার জমি কমে যাওয়া এবং মাটির উর্বরতা নষ্টের ফলে বর্তমান সময়ে যেখানে গোটা বিশ্বে খাদ্যের ঘাটতি হওয়ার কথা ছিল সেখানে বিজ্ঞানীদের উচ্চ ফলনশীল বীজের আবিষ্কারের ফলে গোটা বিশ্বকে অনেকটা নিশ্চিন্তে রেখেছে আধুনিক বিজ্ঞান।
কেবলমাত্র উচ্চ ফলনশীল বীজ উৎপাদনই নয়, বিজ্ঞানের অবদানে কীটপতঙ্গ ও রোগ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হচ্ছে খুব দ্রুত এবং এর জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছে কৃষক। পানি সংরক্ষণ ও সেচ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে কৃষককে এখন আর সম্পূর্ণরূপে প্রকৃতির উপর নির্ভর করে চাষাবাদ করতে হচ্ছে না।
যে কারণে কৃষক উৎপাদন করতে পারছে বাড়তি ফসল যা পূরণ করছে বর্ধিত চাহিদার অনেক অংশ। মাটির স্বাস্থ্য উন্নয়ন কৃষি উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত জরুরী, আর এজন্য বিজ্ঞানীরা মাটি স্বাস্থ্য উন্নয়নের নতুন নতুন উদ্ভাবন করে যাচ্ছে এবং মাটি যাচাইয়ের ফলে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছে যা কৃষককে দেখাচ্ছে নতুন সম্ভাবনা।
কৃষিকাজে বিজ্ঞানের সফল প্রয়োগের উপায়
বাংলাদেশ কৃষিভিত্তিক দেশ। কৃষি ভিত্তিক দেশ হওয়ায় বাংলাদেশের সার্বিক উন্নতির অনেকটাই নির্ভর করছে কৃষির উন্নতির উপর। কিন্তু কৃষিতে অজ্ঞতার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং যন্ত্রপাতির ব্যবহার অসম্ভব বলে বাংলাদেশের কৃষিতে অগ্রগতি অনেকটাই বাধা গ্রস্থ। তাই প্রথমে দেশের শিক্ষার হার বাড়াতে হবে।
এবং প্রত্যন্ত গ্রামীণ কৃষকদের আধুনিক কৃষি পদ্ধতি সঙ্গে পরিচিত করাতে হবে। বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি কৃষি সংস্থা বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে এবং প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে কৃষির উপর গবেষণা চালাচ্ছে। সে বিষয়ে সকলকে জানাতে হবে।
দেশের কৃষকদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফল জানিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে এবং তারা যাতে বিজ্ঞানসম্মতভাবে কৃষি কাজ করতে পারে সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। কৃষিবিদ্যায় উচ্চ শিক্ষা প্রাপ্ত কৃষি কর্মীদের মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে কৃষকদের আধুনিক পদ্ধতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে।
বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষকদের হাতে-কলমে শিক্ষা দিতে হবে এবং তাদেরকে দক্ষভাবে কৃষি কাজে ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত করতে হবে। দক্ষ ভাবে তাদেরকে গড়ে তুলতে পারলে বাংলাদেশের কৃষি কাজের বিজ্ঞানের সর্বাঙ্গিন প্রয়োগ করা সম্ভব হবে। এবং এর ফলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিশ্চিত করা যাবে।
আধুনিক বিশ্বে কৃষি
বর্তমানে আধুনিক কৃষকেরা তাদের গবাদি পশু এবং ফসলের পর্যবেক্ষণ করতে ড্রোনের ব্যবহার করছে। শহরে এলাকায় ফসলের উৎপাদনের জন্য ভারটিকাল চাষ পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। রোবট দ্বারা ফসল রোপন আগাছা পরিষ্কার এবং ফসল কাটার কাজ করানো হচ্ছে।
কৃষকেরা তাদের খামার চালানোর জন্য নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস হিসেবে সৌরশক্তি এবং বায়ুর শক্তি ব্যবহার করে প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার কমাচ্ছে। বিভিন্ন প্রযুক্তির মাধ্যমে পোকামাকড় এবং রোগ প্রতিরোধী নতুন ফসল উৎপাদন করছে যা বাড়তি চাহিদা পূরণে সক্ষম হচ্ছে।
বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে এবং বিজ্ঞানের অবদানের ফলে শহরের মানুষেরাও কৃষিতে আগ্রহী হচ্ছে এবং নিজেদের সাথে সাথে অন্যদের বাড়তি চাহিদাও পূরণ করতে সক্ষম হচ্ছে। কৃষিতে বিজ্ঞানের ছোঁয়ায় আধুনিক কৃষি এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ বলা যায়।
কৃষিতে বিজ্ঞানের বিকাশের অন্তরায়
বাংলাদেশের কৃষিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহারের যেসব অন্তরায় বা বাধা সমূহ রয়েছে তা নিচে আলোচনা করা হলো।
- বাংলাদেশের কৃষি গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগের অভাব।
- বাংলাদেশের কৃষকদের জন্য সীমিত ঋণ ও বীমার ব্যবস্থা নেই।
- বাংলাদেশের কৃষকদের কৃষি সামগ্রী যেমন কীটনাশকের সীমিত প্রাপ্যতা।
- কৃষকদের মধ্যে শিক্ষা ও দক্ষতার অভাব।
- বাংলাদেশের কৃষিতে দুর্বল অবকাঠামো এবং অনিয়ন্ত্রিত বাজার ব্যবস্থা।
- জলবায়ু পরিবর্তন এবং অন্যান্য পরিবেশগত ঝুঁকিসমূহ।
- বিজ্ঞান প্রযুক্তির অত্যাধিক দাম।
- দুর্বল যোগাযোগ কাঠামো।
- বাংলাদেশের কৃষকদের জ্ঞানগত প্রতিবন্ধকতার সমস্যা।
- দুর্বল ইন্টারনেট কাঠামো।
- ঐতিহ্যবাহী এবং স্থানীয় খাদ্য পণ্যের প্রতি ভোক্তাদের দুর্বলতা।
- উন্নত এবং আধুনিক ফসলের প্রতি ভুল ধারণা এবং বিভ্রান্তি।
- উন্নত ফসলের গুণগত মান এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়ে নিশ্চয়তার অভাব।
- বাংলাদেশের খামারের আকার ছোট এবং জমির মালিকানা খন্ডিত হওয়া।
- বাণিজ্যিক বাধা যা কৃষি পণ্য এবং প্রযুক্তির প্রবাহকে স্থবির করে।
- অতিরিক্ত রাজনৈতিক অস্থিরতা।
কৃষিতে বিজ্ঞানের ব্যবহারে বাংলাদেশের করণীয়
বাংলাদেশের কৃষিতে বিজ্ঞানের ব্যবহারের ফলে কৃষি উৎপাদন উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের কৃষিতে বিজ্ঞান এখনো সর্বজন স্বীকৃত এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ নয় বলা চলে।
তাই বাংলাদেশের কৃষিতে বিজ্ঞানের ব্যবহারে আমাদের যা করণীয় তা নিচে দেখানো হলো।
শিক্ষার হার বৃদ্ধিঃ বাংলাদেশের কৃষিতে বিজ্ঞানের ব্যবহারের সব থেকে বড় অন্তরায় হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের শিক্ষার অভাব। তাই কৃষিতে বিজ্ঞানের সম্পূর্ণ ব্যবহার বা সঠিক ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীকে সঠিকভাবে শিক্ষিত করাটাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ।
যদি বিজ্ঞানের ব্যবহার সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে হয় তাহলে অবশ্যই শিক্ষার বিষয়ে জোরদার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
কৃষি গবেষণায় বিনিয়োগ বৃদ্ধিঃ কৃষি ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের উন্নয়নের জন্য কৃষি গবেষণায় বিনিয়োগ করা অত্যন্ত জরুরি। বাংলাদেশের প্রকৃতি এবং কৃষির ধরন আলাদা হওয়ায় বাংলাদেশের মানুষের জন্য উপযোগী এবং টেকসই কৃষি ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নে অবশ্যই বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে হবে। যাতে বাংলাদেশের কৃষিতে বিজ্ঞানের সাহায্যে নতুন সম্ভাবনাময় ফসল উৎপাদন সম্ভব হয়।
কৃষকদের আধুনিক কৃষি প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ দেওয়াঃ বিজ্ঞানের সহায়তায় কেবলমাত্র নতুন নতুন আবিষ্কার করলেই কখনো কোনভাবেই উন্নত কৃষক তৈরি করা সম্ভব নয়। তাই অবশ্যই আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত যন্ত্রপাতি ব্যবহারের জন্য দেশের কৃষকদের বিভিন্নভাবে শিক্ষিত এবং প্রশিক্ষিত করাটাই হচ্ছে একটা বড় চ্যানেল।
সুতরাং, কেবলমাত্র কৃষকদের আধুনিক যন্ত্রপাতি নয় বরং কৃষি প্রযুক্তির বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমেই কৃষকরা উচ্চ ফলনশীল ফসল উৎপাদন করতে পারবে।
কৃষি ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের সফলতা
বর্তমান বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই কৃষিতে বিজ্ঞানের নব নব আবিষ্কারকে কাজে লাগিয়ে সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশের কৃষি জমির তুলনায় জাপানের কৃষি জমির স্বাভাবিক উৎপাদন ক্ষমতা এক-চতুর্থাংশ।
অথচ তারা কৃষিক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সফল প্রয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের চেয়ে কম জমিতে অধিক ফসল উৎপাদন করে খাদ্য সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম হয়েছে। এশিয়ার অনেক দেশেই এখন কৃষিক্ষেত্রে গবেষণা অধিক পরিমাণের জোরদার করা হয়েছে এবং বিজ্ঞানের ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা দূর করে কৃষিতে সফলতা অর্জন করে চলেছে।
দেশগুলো তাদের কৃষি ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ প্রযুক্তি নির্ভর করে তুলতে সক্ষম হয়েছে। এবং বিজ্ঞানের এই অগ্রযাত্রার জোয়ার পৃথিবীর সকল উন্নত, অনুন্নত এবং বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতেও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সুতরাং বলা যায় কৃষিতে বিজ্ঞানের অবদান সার্বজনীন ও অনস্বীকার্য।
উপসংহারঃ
কৃষিতে বিজ্ঞানের অবদান অনস্বীকার্য ও অসীম। তবে কৃষিক্ষেত্রে বিজ্ঞানের সর্বাঙ্গীন সফল প্রয়োগ তখন সার্থক হবে, যখন বিজ্ঞানের সকল আবিষ্কারই সঠিকভাবে প্রয়োগের মাধ্যমে শস্য উৎপাদন এবং সংরক্ষণের মাধ্যমে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা যাবে এবং দেশের অর্থনীতির বুনিয়াদ দীর্ঘ ও মজবুত করা সম্ভব হবে।
জানতে পারেনঃ অলিম্পিকে কি কি খেলা হয়।
লেখক এর কথা
কৃষিতে বিজ্ঞান বা কৃষি কাজে বিজ্ঞান রচনাটি পঞ্চম শ্রেণী থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত সকল শ্রেণীতেই প্রয়োজন হয়। আর সেই বিষয় মাথায় রেখেই রচনাটি সাজানো হয়েছে।
আপনারা চাইলে রচনাটি ইচ্ছামত ছোট এবং বড় করে লিখতে পারবেন। আপনাদের সুবিধার্থে রচনাটিকে আমি শ্রেণীর প্রয়োজন অনুযায়ী ছোট বড় করার একটি মডেল বা নমুনা দেখিয়ে দিতে পারি।
পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত–সূচনা, কৃষির ইতিবৃত্ত, আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি ও বিজ্ঞান, কৃষি কাজে বিজ্ঞানের পরিধি, বাংলাদেশের কৃষি কাজে বিজ্ঞান, কৃষি ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের সফলতা, ও উপসংহার সহ অন্য যেকোনো একটি দুটি স্টেপ যোগ করে আপনারা পুরো রচনাটাকে শেষ করতে পারেন।
আর নবম দশম এবং তার থেকেও উচ্চ শ্রেণী বা উচ্চ পর্যায়ের জন্য যেহেতু রচনাটিকে যতটা বর্ধিত করতে পারবেন ততটাই আপনার জন্য সুবিধা জনক সুতরাং সবগুলো পয়েন্ট ব্যবহার করাটাই যথার্থ হবে।
এম.বি.এ, বিএল কলেজ খুলনা।
FAQs
কৃষি কাজে বিজ্ঞান কেন গুরুত্বপূর্ণ?
নতুন প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং গুণগত মান উন্নয়ন, কৃষকের আয় বৃদ্ধিতে কৃষিকাজে বিজ্ঞানের গুরুত্ব অপরিসীম।
কৃষিতে কেন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহার করা হচ্ছে?
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহারের ফলে ফসলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, উচ্চ ফলনশীল জাত তৈরি করা হয় এবং খরা সহনশীলতা বাড়ায়।
