বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদী থেকে এক দিনে ছয় ঘন্টার ব্যবধানে পৃথক পৃথক স্থানে এবং পৃথক ঘটনায় চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত ব্যক্তিদের নাম পরিচয় জানা যায়নি এখনো। এ ঘটনার জেরে নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকা জুড়ে জনমনে বিরাজ করছে আতঙ্ক এবং ভীতির ছাপ।
২৩ আগস্ট ( শনিবার ) সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জের মাদারীপুর টিনের মসজিদ ঘাট এলাকা থেকে এক নারী এবং এক পুরুষের হাত-পা বাঁধা মোরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মরদেহ দুটি দীর্ঘ সময় পানিতে থাকায় অর্ধ গঠিত হয়ে যাওয়ার কারণে তাদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। যার ফলে প্রাথমিকভাবে তাদের নাম পরিচয় সনাক্ত করা যায়নি এখনো।
সদরঘাট থানার ইনচার্জ ( সোহাগ রানা ) বলেন,‘‘ স্থানীয়রা দুপুর আনুমানিক সাড়ে বারোটায় নদীতে ভাসমান অবস্থায় মরদেহ দুটি দেখতে পেলে পুলিশকে খবর দেয়। এবং পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে। মরদেহ গুলোর মনতন্ত্রের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে তাদের নাম পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি’’।
এ ঘটনা ছাড়াও সন্ধায় বরিশুর নৌফারি এলাকা থেকে আরও দুটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলোকেও মনা তদন্তের জন্য মিটফোর্ড হসপিটালে পাঠানো হয়েছে। তাদেরও উল্লেখযোগ্য কোন পরিচয় এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা বলেছেন,‘‘ সন্ধ্যায় পাওয়া মরদেহ গুলোর সঙ্গে ( ৫০কেজি ওজনের চাঁলের বস্তা ) পাওয়া গেছে যে বস্তার সঙ্গে হাত বেঁধে নারী ও পুরুষের মরদেহ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছি “।
এছাড়াও দুপুরে বুড়িগঙ্গা নদীতে আট ঘন্টার ব্যবধানে নারী ও শিশু সহ আরো দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে সদরঘাট নৌ-পুলিশ। উদ্ধারকৃত শিশুটির বয়স আনুমানিক তিন থেকে চার বছর এবং নারীর বয়স ৩৫ বছরের কাছাকাছি।
একই দিনে পৃথক পৃথকভাবে ছয়টি মৃতদেহ উদ্ধার হওয়াতে নদীর তীরবর্তী স্থানীয়দের মধ্যে বিরাজ করছে ভীতি ও আতঙ্ক।
জানুন:- রিমান্ডের প্রক্রিয়া শেষে কারাগারে সাবেক মন্ত্রী আনিসুল ও মেনন