ফজলুর রহমান ( ৫৫ ) নামে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার এক রিকশা চালককে সুদের টাকা পরিষদে ব্যর্থ হওয়ায় বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফজলুর রহমান মোহনপুর উপজেলার ঘাসিগ্রাম ইউনিয়নের বেলনা গ্রামের স্থানীয় বলে জানা যায়।
১৪ আগস্ট ( বৃহস্পতিবার ) রাত আনুমানিক আটটার দিকে ফজলুর রহমান নামক রিক্সা চালককে তার বাড়ির পাশ থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তার মুখে ঘাস মরার বিষের গন্ধ পাওয়া যায় এবং মুখ থেকে লালা/ ফেনা বের হচ্ছিল। একই সাথে তার হাত-পা বাঁধা ও তার গলায় রশি প্যাঁচানো ছিল বলে জানা যায়।
উদ্ধারের পরেই তাকে প্রথমে মোহনপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসারত অবস্থায় রিকশাচালক শুক্রবার তথা ১৫ই আগস্ট রাতে মৃত্যুবরণ করেন।
নিহতের পরিবারের দাবি,’’ সুদের টাকা ফেরত দিতে না পারায় স্থানীয় পরিচিত মুখ সুদের কারবারি ধুলু মিয়া সহ কয়েকজন মিলে ফজলুর রহমানকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিষ খাইয়ে ফেলে রেখে যায়‘’।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আনজুয়ারা বেগম মোহনপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন এবং প্রধান আসামি হিসেবে অভিযুক্ত করেছেন ধুলোমিয়াকে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ শনিবাররাতে দুলুমিয়াকে গ্রেফতার করেছেন।
মামলার এজাহারে মৃত রিকশাচালক ফজলুর রহমানের স্ত্রী উল্লেখ করেছেন,‘‘ ১৪ই আগস্ট সন্ধ্যা সাতটার দিকে রাজশাহী শহর থেকে কেশরহাট গিয়েছিলেন তার স্বামী রিকশাচালক ফজলুর রহমান। সেখান থেকে গ্রামের বাড়ি বেলনার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেদিন রাতে ১১ টার দিকে বাড়ির পাশে একটি চায়ের দোকানের সামনে তাকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়।
ফজলুর রহমানের বড় ছেলে শাহ আলম (২৫ ) বলেছেন,‘‘ রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার বাবা তাকে জানিয়েছেন- ধুলু মিয়া সহ অজ্ঞাত পরিচয় ৫ থেকে ৬ জন মিলে তার হাত পা বেঁধে জোর করে তাকে বিষ খাইয়েছে।
এ বিষয়ে তার চাচাতো ভাই এনামুল হক বলেছেন,‘‘ ২০২২ সালে সুদের কারবারি ধুলু মিয়ার কাছ থেকে ৩০হাজার টাকা ধার নিয়েছিল ফজলুর রহমান নামক এই রিকশাচালক। তার নেওয়ার ৩০ হাজার টাকার বিপরীতে তিনি ইতোমধ্যে ৪৩ হাজার টাকা সুদ বাবদ পরিশোধ করেছেন। তার পরেও সুদের কারবারি ধুলু মিয়া আরো ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন। এবং এ বিষয়ে স্থানীয় সালিশের মোতাবেক ১৫ হাজার টাকায় মীমাংসা হলেও সুদের ব্যবসায়ী তা মেনে নিতে পারেননি এবং রিকশাচালক ফজলুর রহমানের উপর ক্ষুব্ধ ছিলেন।
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি ) জনাব আতাউর রহমান জানিয়েছেন,‘‘ মারা যাওয়ার আগে ফজলুর রহমান ভিডিও বার্তায় অভিযুক্ত একজনের নাম উল্লেখ করেছেন। এবং উল্লেখিত ব্যক্তিকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হবে’’।
জানুন:- পর্নোগ্রাফির দায়ে গ্রেফতার শিক্ষক
